এতে রোদ-বৃষ্টিতে আমদানি পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, বন্দরের পণ্য উঠানামার কাজে ব্যবহৃত অধিকাংশ ক্রেন ও ফর্কলিফট অকেজো থাকায় বন্দর থেকে সময়মত পণ্য খালাস নিতে পারছেন না।
এ সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে যে কোনো সময় সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
তিনি বলেন, ৪০ টন, ৩৫ টন ও ১৯ টনের ক্রেন আছে একটি করে; আর ১০ টনের ক্রেন আছে দুটি। এসব ক্রেনের মধ্যে পাঁচটি অধিকাংশ সময় অকেজো থাকে।
সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “এখন বন্দরের গুদামে জায়গার অভাবে ওখান থেকে পণ্য বের করার পর নতুন পণ্য ঢোকানো হচ্ছে। খালাস না হওয়ায় পণ্যবোঝাই ট্রাক বন্দরের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকছে দিনের পর দিন। ট্রাক থেকে পণ্য নামানোর অনুমতি মিললেও ক্রেন বা ফর্কলিফট মিলছে না। ফলে জায়গা ও ক্রেন সঙ্কটে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বন্দর ব্যবহারকারীদের।”
বন্দর ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, বন্দরের চালক ও ইঞ্জিনিয়ারদের যোগসাজশে কিছু ‘অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী’ এসব ফর্কলিফট ও ক্রেন ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ অচল করে রাখেন। মাঝে মধ্যে মেরামতের জন্য যেসব যন্ত্রাংশ কেনা হয় তা অধিকাংশই পুরনো। ফলে মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আবার তা অচল হয়ে পড়ে।
বন্দরের জায়গা ও ক্রেন সমস্যার সমাধান না করতে পারলে বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম মুখ থুবড়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
“দ্রুত ২৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোলে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল স্থাপনের কাজ শুরু হবে। করোনার কারনে কাজ একটু পিছিয়ে যাচ্ছে। এসব বাস্তবায়ন হলে এই বন্দরে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।“