কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে চারজন প্রাণ হারালেন, দুইজন শঙ্কায়

কুষ্টিয়ায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে চার জনের মৃত্যু এবং আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2020, 04:09 PM
Updated : 7 Sept 2020, 04:09 PM

সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ও আড়িয়া ইউনিয়নে পৃথক স্থানে এ বজ্রপাতের দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার চর দৌলতপুর ইউনিয়নের চর দৌলতপুর গ্রামের নাহারুল ইসলাম (৫২), আড়িয়া ইউনিয়নের শেনপাড়া গ্রামের কৃষক ইরাজুল ইসলাম (৪৮), উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নাটনা পাড়া গ্রামের আবু জেহেলের ছেলে কামাল হোসেন (৩০) এবং নুরুর ছেলে মহিবুল ইসলাম (২৮)।

আহতরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার চক দৌলতপুরের বজ্রপাতে সদ্য নিহত নাহারুল ইসলামের স্ত্রী কমলা খাতুন (৪৫) ও মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের আতিয়ার মন্ডল (৫৫)। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার পিরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান, দুপুরে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সময় ঐ কৃষক নাহারুল ইসলাম ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। তার স্ত্রী কমলা খাতুন আকাশে বিজলি চমকাতে দেখে নাহারুলকে বাড়িতে ফিরে আনার জন্য ডাকতে যান। হঠাৎ বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহারুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।

কমলা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান, ইরাজুল ইসলাম (৪৮) বিকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন।

এছাড়া মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমাইয়া শাম্মি আক্তার জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কামাল হোসেন ও মহিবুল ইসলামকে নিয়ে আসা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তাদের দুজনের মৃত্যু হয়।

এর আগে বিকালে বজ্রপাতে গুরুতর আহত অবস্থায় আতিয়ার মন্ডলকে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।