এছাড়া একই দিন কুষ্টিয়া মডেল থানার আসলান জেলিন নামের এক কলেজছাত্র হত্যা মামলায় এক ব্যক্তিকে দশ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
সোমবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো: মশিয়ার রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার হায়দারের চর গ্রামের আলমগীর হোসেনর ছেলে মো. সজিব হোসেন (৩২) এবং তার বড় ভাবি প্রবাসী আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা খাতুন (২৫)।
আর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার এনএস রোডের করিম মঞ্জিলের বাসিন্দা ফরিদ আহম্মেদের ছেলে তুষার আহম্মেদ ওরফে কানা তুষার (১৬)।
রনি হত্যা মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার হায়দারের চর গ্রামের নাহারুল ইসলামের ছেলে রনি (৩০) বাড়ি থেকে পাশের সোনাইকুণ্ডি বাজারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এক সপ্তাহ পর ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার ৬ নম্বর চিলমারি ইউনিয়নের উদয়নগরের পদ্মা নদীর চর থেকে রনির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা খাতুনের সঙ্গে রনির মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক পড়ে ওঠে। রনি বিভিন্ন সময়ে তাদের বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সীমাকে ব্ল্যাকমেইল অর্থ হাতিয়ে নিতেন। এক পর্যায়ে সীমা বিষয়টি তার দেবর সজিবকে জানায় এবং পরে ভাবি ও দেবর মিলে পরিকল্পনা করে রনিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রষ্ট্রিপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী বলেন, রনি হত্যা মামলায় সজিব ও সীমার জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। অনাদায়ে তাদের আরও ১ বছর সাজা ভোগ করতে হবে।
অন্যদিকে জেলিন হত্যা মামলার বরাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারি আইনজীবী আব্দুল হালিম জানান, ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের হেমচন্দ্র লেনের মাহবুব ইসলামের ছেলে আসলান জেলিনকে (১৮) ডেকে নিয়ে গিয়ে তুষার আহম্মেদ ওরফে কানা তুষার হত্যা ছুরিকাঘাতে করে।
পরে জেলিনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মামলা দায়ের করেন।
আব্দুল হালিম বলেন, তুষারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পেনাল কোডের ৩০২ ধারা মোতাবেক মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার কথা। কিন্তু আসামি কিশোর হওয়ায় বয়স বিবেচনায় তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।