অবশ্য রোববার রাত ১০টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া জানান, এই সমস্যা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরের সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তবে ওয়াহিদার বাবা ওমর আলী শেখ (৭০) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ওমর আলীর শেখের ডায়াবেটিস আছে। ঘটনার সময় তার ঘাড়ে আঘাত পাওয়ায় স্পাইনাল কর্ডে আঘাতটি গুরুতর হয়। সেক্ষেত্রে তার দুই হাত কিছুটা সচল থাকলেও কোমরের নিচ থেকে পা পর্যন্ত অবশ হয়ে গেছে।
এটি সেরে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে তার অবস্থার ‘দিন দিন উন্নতি হচ্ছে।’
বিষয়টি রংপুরের ডিসিকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান, আপাতত ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। এখানকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখানকার চিকৎসকরা রিপোর্ট দেখে ঢাকায় নিয়ে যেতে বললে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ওমর আলী শেখের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং রোগীর স্বজনরা যদি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
“তবে শরীরের নিচের অংশ অবশ হলেও ওমর আলী শেখের কথা বলতে পারেন।”