নোয়াখালীর ডিসি খোরশেদ আলম খাঁন জানান, শনিবার বিকাল ৫টায় ৪০ সদস্যের দলটি ভাসানচরে পৌঁছায়। সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থী পুনর্বাসন প্রকল্পের পরিচালক কমোডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী তাদের স্বাগতম জানান।
শনিবার ভোরে দুটি বাসে করে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দলটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের পথে যাত্রা করে। সেখান থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জলযানে করে তারা ভাসানচরে পৌঁছান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, প্রতিনিধি দলে রোহিঙ্গা নেতা ছাড়াও দুইজন নারী সদস্য রয়েছেন। ভাসানচরে তারা দুইদিন দুই রাত অবস্থান করে সেখানে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে এবং দ্বীপটি বসবাসের জন্য কেমন তা নিজেদের চোখে দেখবেন।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার বিরান দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের এই পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১০ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ইতোমধ্যে ভাসানচরে নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে সরকার।
সরকার বলছে, রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য সব ব্যবস্থাই ভাসান চড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে গেলে কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্প জীবনের চেয়ে ভালো থাকবে তারা।
তবে সাগরের ভেতরে জনমানবহীন ওই চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে।