পরিবার এ ঘটনাকে অস্বাভাবিক দাবি করে তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত সুস্মিতা মজুমদার ইভা (২৫) গোপালগঞ্জ শহরের জনতা রোডের জগদীশ মজুমদারের মেয়ে। ওই কলেজের প্যাথলজি বিভাগে স্বেচ্ছাসেবক টেকনোলজিস্ট হিসেবে বিনা বেতনে কাজ করছিলেন তিনি। তার একটি ছেলে রয়েছে। তার স্বামীর নাম রাজিব মজুমদার।
পুলিশ কর্মকর্তা ছানোয়ার বলেন, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের ছয়তলায় পিসিআর ল্যাব টেকনোলজিস্টদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলছিল। এ সময় বায়োটেক সার্ভিসের পিসিআর ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল হাসান ভবনের বারান্দায় সুস্মিতাসহ ছয় প্রশিক্ষণার্থীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ করে সুম্মিতা নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ওই বারান্দায় দেড়-দুই ফুট রেলিং আছে।
সুস্মিতার চাচা গোপালগঞ্জ সদর হাসপতালের চিকিৎসক অনুপ মজুমদার।
তিনি বলেন, ইভা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনোলজিস্ট। সে করোনাভাইরাস রোগীদের সেবা দিতে সদর হাসপাতালে অবৈতনিক টেকনোলজিস্ট হিসেবে যোগ দিয়েছিল।
“ভবনের যে জায়গা থেকে সুস্মিতা পড়েছে, সেখান থেকে পড়ার কথা নয়। তার পড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য ডিসিকে মৌখিকভাবে বলেছি।”
তবে এখনও তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি বলে জানান।
গোপালগঞ্জের ডিসি শাহিদা সুলতানা, জেলার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ, সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক অসিত মল্লিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।