শুক্রবার পঞ্চগড় জেলার সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি বাসভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধিতে সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে দেখে গিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়ার কথা।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পঞ্চগড় জেলা কমান্ড্যান্ট আশরাফুল ইসলাম বলেন, মৌখিক নির্দেশনায় প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক ইউএনও এবং তাদের বাসভবনের নিরাপত্তায় অস্ত্রসহ চারজন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
“তারা ২৪ ঘণ্টাই সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা খাবার ও রাত্রিযাপনও কর্মস্থলেই করবেন।”
রোববার দাপ্তরিক নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রয়োজনে আরো আনসার সদস্য বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
চারজনের এই আনসার দলের এক জন প্লাটুন কমান্ডার এবং অপর তিন জন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রত্যেকের কাছে একটি করে চায়নিজ রাইফেল এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক গুলি ও রাবার বুলেট থাকছে বলেও জানান কমান্ড্যান্ট আশরাফুল।
বিকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, তার সরকারি বাসভবনে চারজন সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এজন্য আগের তুলনায় বেশি নিরাপদ রোধ করছেন বলেও জানান তিনি।
গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসের বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা চালানো হয়। এতে গুরুতর আহত হন ইউএনও ওয়াহিদা। তিনি ঢাকায় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার ভোরে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে দুইজনকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং আসাদুল ইসলাম সদস্য বলে উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম আকাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।