এছাড়া আদালত তার ১০৮টি জমির দলিল ও চারটি গাড়ি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে।
বাগেরহাটের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক গাজী রহমান বুধবার এই আদেশ দেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জি জানান।
কমিশনের দায়ের করা ১১০ কোটি টাকা পাচারের মামলায় আব্দুল মান্নান তালুকদার গত বছরের ১৫ জুলাই আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে তিনি বাগেরহাট জেলা কারাগারে রয়েছেন।
আইনজীবী মিলন কুমার বলেন, সম্প্রতি দুদকের দায়ের করা টাকা পাচার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্তে আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩০টি ব্যাংক হিসাব, ১০৮টি দলিল মূলে প্রায় ৪৮ একর জমি ও তার চারটি ব্যক্তিগত গাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। শুনানি শেষে আদালত সব ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং স্থাবর সম্পত্তি এবং গাড়ি ক্রোক করার আদেশ দেয়।
আব্দুল মান্নান প্রায় নয় বছরে বাগেরহাটের ১৬টি ব্যাংকের ৩০টি হিসাবে ১১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা জমা করেছেন জানিয়েছেন মলার তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের বাগেরহাট-খুলনা-সাতক্ষীরা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়া।
২০১০ সালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আব্দুল মান্নান তালুকদার স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েলস্টেট লিমিটেড নামে একটি জমি কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ওই প্রতিষ্ঠানের তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক।