বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাকে আটক করা হয় বলে এই অফিসের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান জানান।
আটক সাদেক হোসেন জমা দেওয়া কাগজপত্রে বাবার নাম মোহাম্মদ হোসাইন ও মায়ের নাম লতিফা উল্লেখ করেছেন।
এই ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আনিসুর রহমান বলেন, “আটক রোহিঙ্গা যুবক অবৈধ উপায়ে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের ইমাম হোসেন নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দিয়ে পাসপোর্ট করতে চেয়েছিলেন। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সন্দেহ হলে জেরার মুখে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করেন।
“এই যুবক করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে তার বাড়ি বলে কাগজপত্রে উল্লেখ করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।”
সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান আরও জানান, পরিচয় গোপন রেখে পাসপোর্ট করতে চাওয়ার অভিযোগে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সাইফুল মালেক বাদী হয়ে সাদেক হোসেন ও ইমাম হোসেনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রোহিঙ্গা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আনিসুর রহমান জানান, সাদেক হোসেনের বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইনের সিন্ধিপাড়ায়। তিনি কোনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকেন না। বছর দশেক আগে এদেশে এসে তিনি চট্টগ্রামে বসবাস করছিলেন।
সদর মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দীক বলেন, অপর আসামিকেও আটক করতে অভিযান চালানো হবে।