খুলনায় হত্যার দায়ে ৪ জনের ফাঁসির রায়

খুলনার রূপসায় মুদি দোকানদার মুসা শিকদার হত্যা মামলায় চার জনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2020, 07:06 AM
Updated : 2 Sept 2020, 06:06 PM

বুধবার খুলনার জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান চৌধুরী দুই বছর আগের এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আসামিদের মধ্যে দুই জনকে বিচারক খালাস দিয়েছেন বলে এ আদালতের পিপি এনামুল হক জানান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- রূপসার আলাইপুরের বনি আমিন শিকদার (২০), রাহিম শেখ (২২), রাজু শিকদার (২০) ও নুহু শেখ (২৭)। তাদের উপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা হয়।

আর জসিম শিকদার (৫৯) ও সিরাজ শিকদারকে (৫২) রায়ে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং দণ্ডবিধির ৩৬৪ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, যা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রূপসা উপজেলার আঠারোবেকি নদীতে রাজাপুর গ্রামের রূপসা উপজেলার আলিপুর গ্রামের মুদি দোকানদার ও মাদরাসা ছাত্র মুসা শিকদারের লাশ পাওয়া যায়।

মুদি দোকানে বাকি খাওয়া ও গুলতি মারা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে একদিন আগে তার বিরোধ হয়েছিল তার। এই বিরোধ ও মারামারির জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

এই ঘটনায় বনি আমিন শিকদার, রাহিম শেখ, নুহু শেখ ও রাজু শিকদারকে আসামি করে একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন মুসার বাবা মোস্তাকিম শিকদার।

আদালত মামলাটি তদন্ত করে নথিভুক্ত করার জন্য রূপসা থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়।

জেলা ডিবির এসআই মুক্ত রায় চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩০ মে আদালতে ছয় জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এজাহারভুক্ত চার জনের সঙ্গে অভিযোগপত্রে নতুন যুক্ত হওয়া দুই জন হলেন জসিম শিকদার ও সিরাজ শিকদার। আসামিরা সবাই আলাইপুরের বাসিন্দা।

খুলনার জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এ মামলার শুনানিকালে ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন পিপি এনামুল হক ও এপিপি এম ইলিয়াস খান। আসামি পক্ষে ছিলেন মো. ফরহাদ আব্বাস ও নিরঞ্জন কুমার ঘোষ।