কুমিল্লায় খন্দকার মোশতাকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের দাবি

খন্দকার মোশতাক আহমেদের সম্পতি বাজেয়াপ্ত এবং তার কবর কুমিল্লা থেকে সরানোর দাবি জানানো হয়েছে।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2020, 05:39 PM
Updated : 31 August 2020, 05:40 PM

সোমবার বিকালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়া গ্রামে খন্দকার মোশতাকের বাড়ির সামনে এ কর্মসূচি পালন করে দাউদকান্দি উপজেলা যুবলীগ।

এ কর্মসূচিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাম্মদ আলী সুমন।

তিনি বলেন, “কুমিল্লার কুলাঙ্গার খুনি মোশতাকের কারণে আমরা কুমিল্লার নামে বিভাগ পাচ্ছি না। তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতা খুনি মোশতাকের দাউদকান্দিতে সকল প্রকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানাচ্ছি। ”

মাহাম্মদ আলী সুমনের ভাষ্য, কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক ও কর্নেল রশিদের বাড়ি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ জেলার নামে বিভাগের নাম করতে চান না।

তিনি বলেন, এ খুনিদের কারণে আমরা দাউদকান্দি তথা কুমিল্লাবাসী কলঙ্কিত। দেশের অন্য জেলার লোকজন কুমিল্লার নাম শুনলেই বলে খুনি মোশতাকের এলাকার লোক। আমরা এ লজ্জা থেকে পরিত্রাণ চাই।

তাই অবিলম্বে দাউদকান্দি তথা কুমিল্লার মাটি থেকে খুনি মোশতাকের বাড়ি ও কবর অপসারণ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান তিনি।

এর আগে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দশপাড়াস্থ খোন্দকার মোশতাকের বাড়ি ঘেরাও করতে যায়। মিছিলটি স্থানীয় ভাগলপুর গ্রামে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধদের সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে দেখা যায়। তবে বাধা পেয়ে বিক্ষুব্ধরা মোশতাকের বাড়ির পাশের দশপাড়া বঙ্গবন্ধু ঈদগাহে সমবেত হন।

২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি  একনেকের সভা শেষে তৎকালিন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছিলেন,প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগের নাম ‘ময়নামতি’ নামটি তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।

তিনি বলেছিলেন, “আজকে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, কুমিল্লা বিভাগের নাম ময়নামতি রাখা হবে। ভবিষ‌্যতে কোনো জেলার নামে আর বিভাগ হবে না। নতুন নামকরণ করা হবে।”