নিখোঁজের ৩৭ ঘণ্টা পর মধুমতি নদীতে মিলল পুলিশের লাশ

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে ট্রলার থেকে মধুমতি নদীতে সন্তানসহ পড়ে যাওয়া পুলিশ সদস্যের লাশ ৩৭ ঘণ্টার পর উদ্ধার হয়েছে; তবে শিশুপুত্রটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2020, 05:13 PM
Updated : 30 August 2020, 05:13 PM

রোববার সকালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মইষাঘাটা এলাকায় নদীতে লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।

নিহত পুলিশ সদস্য আবু মুসা রেজোয়ানের (২৮) বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চাচই গ্রামে। তার নিখোঁজ ছয় মাসের ছেলের নাম আনাস।

কাশিয়ানী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, “মুসার লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ওসি আজিজুর রহমান জানান, গত শুক্রবার বিকালে কালন ফেরী ঘাট এলাকা থেকে ট্রলার (ইঞ্জিনচালিত নৌকা) ভাড়া করে মুসা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নদীতে ঘুরতে বের হন। ট্রলারে স্ত্রী, ছেলে ও আত্মীয়-স্বজনসহ আট জন ছিলেন।

“কালনা ঘাটের দিকে ফিরে আসার সময় নির্মাণাধীন সেতু এলাকায় ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। নদীর প্রচণ্ড স্রোতের তোড়ে নির্মাণাধীন সেতুর পিলারের সাথে ট্রলারের ধাক্কা লাগলে কোলে থাকা আনাসসহ মুসা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।”

নড়াইলের লোহাগড়া ফায়ার সার্ভিসের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ রানা জানান, তাদের উদ্ধার করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খুলনা অঞ্চলের সাত সদসস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান আরম্ভ করে। স্রোতের কারণে শনিবার সকাল ১১টা দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে নৌবাহিনীর দলটি খুলনা ফিরে যায়।

বরিশাল থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ডুবুরি শনিবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ফায়ার সার্ভিসের ওই ডুবুরি দলও উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে বরিশাল ফিরে যায় বলে জানান তিনি।

ঘটনার ৩৭ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মধুমতি নদীর মইষাঘাটায় পুলিশ সদস্যের লাশ ভেসে ওঠার পর সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ বলে জানান মাসুদ।