রোববার দুপুরে বোদা উপজেলার কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শামীম হোসেন ওরফে কাল্ঠু (৩৬) পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের পেত্তানির হাট গ্রামের বাসিন্দা।
কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাহার হোসেন বলেন, শামীম সাপুড়ে হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত ছিলেন। এটাই তার পেশা।
পারিবারিকভাবে তার দাফনের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
গৃহকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, তার বাড়ির গোলাঘরে (ধান রাখার ঘর) সাপের উৎপাত দেখা যাওয়ার বিষয়ে হাটে গিয়ে আলাপ করেন তিনি। এ খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী পেত্তানির হাট গ্রামের সাপুড়ে শামীম হোসেন গত শনিবার বিকালে তার বাড়িতে আসেন। শামীম গোলা ঘরে সাপের উপস্থিতিও টের পান।
“রোববার দুপুরে সেখান থেকে তিন সঙ্গী নিয়ে শামীম একটি গোখরা সাপ ধরেন। বস্তায় ভরতে গিয়ে আকস্মিকভাবে সাপটি লাফ দিয়ে তার বুকে ছোবল দেয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে নিস্তেজ হয়ে মাটিতে বসে পড়েন তিনি।”
শফিকুল আরো জানান, সাপে কামড় দেওয়ার পরপরই তার সাথে থাকা একজন দ্রুত এক কবিরাজ ডেকে আনেন। সেই কবিরাজ মাটিতে রেখা এঁকে তার মধ্যে তাকে রেখে ঝাঁড়-ফুঁক করতে থাকেন।
“গ্রামবাসীসহ আমরা তাকে হাসপাতালে নিতে বললেও তারা গুরুত্ব দেয়নি। কিছুক্ষণ পর তার কাছ থেকে আর সাড়া পাওয়া যায়নি।”
পরে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ গোখরার কামড়ে নিহত শামীমের লাশ তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।