‘বাঁধটি পুরাতন’ উল্লেখ করে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল হেকিম বলেছেন, এ নিয়ে তিন দফা ভাঙন হল।
স্রোতে নদীর তলদেশ থেকে জিওব্যাগ ও সিসিব্লক সরে গিয়ে এ বাঁধের ২৩৯ মিটারের অংশে ফের ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে গত দুই দিনে এ বাঁধের এক শত মিটার ধসে পড়েছে বলে জানান তিনি।
“এক লাখ ২০ হাজার জিওব্যাগ ও এক হাজার ৭৩৫টি সিসিব্লক ডাম্পিং করা হয়েছে। নতুন করে ডাম্পিং কাজ চলছে।”
এর আগেও এ বাঁধের প্রায় ৬৫ মিটার পদ্মায় বিলীন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, গত এক মাস ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলে বাঁধ মেরামতের জন্য কাজ করলেও কোনো কাজে আসছে না।
“ভাঙনের ফলে আশপাশে কমপক্ষে তিনটি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পাকা বাড়ির লোকজন হুমকির মুখে আতঙ্কে দিন কাটছে।”
২০০৭ ও ২০১২ সালে সুরেশ্বর দরবার শরীফ ও আশপাশের এলাকায় ভাঙন দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাঙন রোধে ৮৫০ মিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয় বলে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড নিবাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান।
“চলতি বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ঐ বাঁধে আবার ভাঙন দেখা দেয়।“
কেদারপুরের সাবেক চেয়াম্যান স্থানীয় ঈমাম হোসেন দেওয়ান জানান, এর আশেপাশের লোকজন ভাঙনের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে।
স্থানীয় রাজ্জাক মির মালত বলেন, “আমরা পাঁচ হাজার পরিবার হুমকির মুখে আছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে চেষ্টা করলেও ভাঙন থামছে না।”
সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুত্তালি সৈয়দ শাহ সুফি শাহীন নুরী মরে করেন, পদ্মা নদীর মাঝখানে চর পড়ায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই তিনি ওই চর কেটে দিলে ভাঙন কমবে বলে মনে করছেন।