শনিবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেললাইন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর ডিপিপি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।
“আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের আগেই এ কাজ শেষ হবে।”
এই রেল লাইন সম্প্রসারণে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে বাংলাবান্ধা বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, এতে ভারতের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা সহজ হবে।
দেশের একমাত্র বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে চার দেশের বাণিজ্য চলে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, এটি বেনাপোলের চেয়েও সম্ভাবনাময়, এজন্য বন্দরটিকে আরও কার্যকর করতে সরকার কাজ করছে।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী মহা পরিকল্পনা করা প্রয়োজন বলে মন্ত্রী অভিমত দেন।
মন্ত্রী জানান, শিগগিরই দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ইশ্বরদী পর্যন্ত ডবল লাইন নির্মাণ করা হবে।রেল স্টেশনগুলো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক রেলস্টেশনের আদলে চিলাহাটি রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। কমলাপুর রেলস্টেশনও চীনের বেইজিং রেলস্টেশনের আদলে নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ডাবলু, বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান, আমদানী রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।