নারী ভাইস চেয়ারম্যানের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

রাঙামাটির আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সদর উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম স্থানীয় চার ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বাড়িতে ভাংচুর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।

গত সোমবারের (২৪ অগাস্ট) এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলেও এখনও মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে তিনি জানান।

শনিবার রাঙামাটি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসরিন ইসলাম একথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে এই জনপ্রতিনিধি লিখিত বক্তব্যে বলেন, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বাপ্পী, সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কায়সার, সদস্য ইমরুল উদ্দিন, রাঙামাটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহউদ্দিনসহ ১০-১৫ জন মিলে দরজার ভিতরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে আটকে ছুরি, রড দিয়ে আঘাত করেছেন।

“এমনকি আমার নাবালিকা মেয়েকে নির্যাতন করে গায়ের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।”

নাসরিন বলেন, “গত ২৪ অগাস্ট রাত ৯টার সময় উপজেলা পরিষদের টিউবওয়েল বসানো নিয়ে তার বাসায় এক সভা চলছিল। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের এই চার নেতা বাসায় হামলা করে। এ সময় বাসার ভিতর ভাঙচুরসহ আমাকে শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা চালায়। এদের মধ্যে মেজবাহ উদ্দিন আমার বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সে ভাড়া দেয় না। ভাড়া চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

“এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।”

বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান।

রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, “যেহেতু এই ঘটনায় আসামি ও অভিযোগকারী সকলেই একই রাজনৈতিক দলের এবং ঘটনাটির সাথে রাজনৈতিক প্রেক্ষিত আছে তাই আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা তদন্ত করছি; তদন্ত শেষে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এটি এলাকাভিত্তিক ঘটনা। এখানে দলীয় বিষয়টি টেনে আনা ঠিক হবে না। উনিও দলীয় ব্যানারে নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। তাই আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয় কিনা চেষ্টা করেছিলাম; কিন্তু উনি যেহেতু থানায় অভিযোগ দিয়েছেন এখন পুরো বিষয়টি আইনের মাধ্যমে সমাধান হোক।”

দলের সহযোগী সংগঠনের জুনিয়র নেতাদের হাতে দলেরই একজন নির্বাচিত নারী জনপ্রতিনিধি লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি; এটা দুঃখজনক ঘটনা। ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন যদি জেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ করেন তবে বিষয়টি আমরা অবশ্যই দেখব।”