ভারতীয় নারী স্বামীর কাছে এলেন কুড়িগ্রামে

তিন বছর বয়সী সন্তানসহ এক নারী ভারত থেকে কুড়িগ্রাম এসেছেন তার স্বামীর কাছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2020, 05:49 PM
Updated : 28 August 2020, 05:49 PM

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর চান্দোলারপাড় গ্রামে তার স্বামী ওবাইদুল হকের (৩৫) বাড়ি।

গত একমাস ধরে সুনিয়া সাউ (২৯) নামের এই নারী স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছেন।

সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাকে আটক করা হবে বলে বিজিবি জানিয়েছে।

কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মন্ডল, ওই এলাকার আফজাল হোসেন (৬৫), মতিয়ার রহমান (৬৫), আব্দুল সাক্তার (৫৫) ও সিরাজুল ইসলাম জানান, ভারতের ছত্রিশগড় রাজ্যের মঙ্গলী জেলার জেড়াগাও থানার মৃত ফাগুরাম সাউ ও রাজকুমারী দম্পতির মেয়ে সুনিয়া সাউ (২৯)। ২০০৬ সালে একই রাজ্যের ধনউড়ার রোহিত শর্মার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেই সংসারে তার দুই সন্তান রয়েছে।

চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মন্ডল বলেন, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের মৃত আবুল কাসেম আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রী ওবাইদুল হক বৈধ ভিসা নিয়ে ওই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন।

“২০১৬ সালের শেষের দিকে সুনিয়া সাউয়ের সাথে ওবায়দুলের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ক জানতে পেরে রোহিত শর্মার সাথে সুনিয়া সাউর ছাড়াছাড়ি হয়। এ সময় ওবায়দুলকে বিয়ে করে দিল্লি চলে যান সুনিয়া সাউ।”

গোলজার হোসেন মন্ডল বলেন, দিল্লি তারা চার বছর ছিলেন। তাদের তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। করোনাভািইরাস সংগ্রমণের মধ্যে ওবাইদুল বাংলাদেশে চলে আসেন।

“এক মাস আগে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি পেয়ে দালালদের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম আসেন সুনিয়া সাউ; সঙ্গে ছেলেও আছে।”

এক মাস আগে এলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয় বলে গোলজার হোসেন জানান।

এ ব্যাপারে ওবায়দুল বলেন, “আমি বৈধভাবে তাকে বিয়ে করেছি। সে নিজ ইচ্ছায় আমার সাথে সংসার করছে। এ নিয়ে আমার প্রথম স্ত্রী কল্পনা বেগমের কোনো আপত্তি ছিল না। প্রতিবেশীরা বিষয়টি ঘোলাটে করেছে।”

সুনিয়া সাউ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেম করে চার বছর আগে ভারতের দিল্লিতে আমরা বিয়ে করেছি। আমি জন্মভুমি ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে বাংলাদেশে স্বামীর বাড়ি এসেছি। আমার একটি ছেলে রয়েছে। তাই আমি এখানেই ঘর-সংসার করে থাকতে চাই।”

লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএন তৌহিদুল আলম বলেন, “ভারতীয় ওই নারী বাংলাদেশে প্রবেশের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। শুধু ভারতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তার। তিনি দোভাষী। তাকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হবে। এছাড়াও বিএসএফকে অবগত করা হবে।”

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায় বলেন, “বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”