শুক্রবার দুপুরে মিস্ত্রীপাড়া বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে খুলনা সদর থানার ওসি আশরাফুল আলম জানান।
আহত লামিয়া নগরীর আরাফাত জামে মসজিদ এলাকার মো. জামাল হোসেনের মেয়ে। সে খুলনার সরকারি ইকবালনগর বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, লামিয়া বেলা ১১টার দিকে বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল। এমন সময় বিপরীত পাশে ইউসুফ খাঁর বাড়ির দিক থেকে একটি গুলি এসে তার বাম পায়ের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাফর আহমেদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সম্প্রতি নগরীর বাবু খান রোডের সংস্কার কাজ পেয়েছেন মিস্ত্রীপাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ আলী সরদার।
“গত কয়েক দিন ধরে তাকে কিছু লোক এই কাজটি নিয়ে নেওয়ার জন্য ইউসুফ আলীকে চাপ দিয়ে আসছিল।”
জাফর বলেন, ওই লোকগুলো [ইউসুফের প্রতিপক্ষ] বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউসুফ আলীর বাড়ির সামনে এলে ইউসুফ তাদের প্রতি দুটি গুলি করেন, যার একটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশের বাড়ির লামিয়ার পায়ে লাগে।
খুলনা সদর থানার ওসি আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় ব্যবহৃত পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি ও দুই রাউন্ড গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে। তবে কেউ আটক হয়নি। পুলিশ পুরো বিষয় তদন্ত করছে।
জব্দ করা অস্ত্রটি লাইসেন্সকৃত বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার বলেন, “ঘটনাটি বিস্তারিত খতিয়ে দেখছি আমরা।”
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিল্টন মল্লিক বলেন, “মেয়েটির জীবনের ঝুঁকি না থাকলেও পায়ের ক্ষতি হতে পারে।”