বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বলে নিশ্চিত করেছেন কাজী জাহিদের আইনজীবী নুরুল আমিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুর রহমান রাতে বলেন, “আমি রূপক অর্থে যে কথাগুলো বলেছিলাম, কারাগারে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি স্বাস্থ্যখাত নিয়ে আসলে মিথ্যা কিছু বলিনি।”
গত ১৭ জুন রাজশাহী শহরের এক আইনজীবী মতিহার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন শিক্ষক জাহিদের বিরুদ্ধে। মামলায় মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলায় ওই দিন রাত ২টায় জাহিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদুর রহমান নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের পদে ছিলেন।
নাসিমকে ইঙ্গিত করে ফেইসবুকে লেখার পর গত ১৬ জুন জাহিদুর রহমানকে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।
নাসিম রাজধানী ঢাকার শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ জুন সকালে মারা যান।
নাসিম অসুস্থ হওয়ার পর তাকে নিয়ে ১ ও ২ জুন কাজী জাহিদুর রহমান ফেইসবুকে লেখেন। কিন্তু সে সময় ঘটনাটা পেছনেই থেকে যায়।
নাসিমের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করে সেদিনই গ্রেপ্তার হন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরাজুম মুনিরা।
এরপর ১৫ জুন কাজী জাহিদুর রহমানের লেখা সামনে এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। তার একদিন বাদেই মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে গত ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় কাজী জাহিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই আইনে গ্রেপ্তারের পর থেকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করেছেন অধিকারকর্মীরা।