বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকালে শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় তার।
প্রয়াত পূর্ণিমা রানী দাস (১৭) নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের বাদল দাসের মেয়ে। জামনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি।
পুঠিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, মেয়েটির বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়ায় হলেও সে মারা গেছে পুঠিয়া হাসপাতালে। তাই তারা রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন।
“এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পূর্ণিমার বাবা বাদল দাস জানান,তার মেয়েকে ভালোবাসে এমন দাবি করে গত বুধবার বিকালে কলেজ মাঠে অর্ঘ কুমার ধর (১৮) ও মো.সুজন (১৮) নামের দুই তরুণের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আফতাব উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে থামান। তিনি বিষয়টি মেয়েটির ওপর ছেড়ে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তাদের।
বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ণিমার বাবা এ ঘটনা জানার পর তিনি মেয়েকে সতর্ক করেন। কিন্তু পূর্ণিমা বাড়ির সবার অগোচরে তার ঘরে বিষপান করে। বিষয়টি জানতে পেরে তড়িঘড়ি করে তাকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জানা গেছে অর্ঘ কুমার ধর (১৮) ও মো.সুজন (১৮) দুইজনই ওই কলেজের ছাত্র। তারা দুইজনই পূর্ণিমাকে ভালবাসেন।
জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আফতাব উদ্দিন বলেন, আমি জামনগর কলেজ মাঠে গিয়ে বিবাদমান দুই তরুণের মধ্যেকার মারামারি থামাই। তাদেরকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই।
“কিন্তু ঘটনাটি জানার পর মেয়েটি যে এভাবে আত্মহত্যা করবে তা আমি ধারণাও করতে পারিনি। সে একজন মেধাবী ছাত্রী ছিল।”