কুষ্টিয়ায় ‘জাল করোনাভাইরাস সনদ বিক্রি’, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গ্রেপ্তার

‘করোনাভাইরাস নেগেটিভের জাল সনদ’ বিক্রির অভিযোগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2020, 12:54 PM
Updated : 27 August 2020, 12:54 PM

বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলিস্ট (ইপিআই) মাহফুজুর রহামানকে তার কর্মস্থল্ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় মাহফুজুর রহামানের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সনদ জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর থানায় মামলা করেছেন কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম।

মাহফুজুর রহমান মিরপুরের চুনিয়াপাড়ার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, পাবনার রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরির জন্য করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ দিতে হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজ লাগিয়ে ৭শ- ১৫শ টাকায় কয়েকদিন ধরে ভুয়া করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ দিয়ে আসছিলেন মাহফুজুর রহমান। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, “করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা না নিয়েই নেগেটিভ সনদ দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে আমরা মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালাই। এ সময় মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়।”

সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস সনদ জালিয়াতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তিনি নিজে বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।

“দীর্ঘদিন ধরে করোনাভাইরাস নেগেটিভ হওয়ার জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগ ছিল মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জনের দেওয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এ মামলার আসামি মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ সময় তার দখলে থাকা একটি কম্পিউটারের হার্ডডিক্স, একটি পেনড্রাইভ, একটি সিল ও করোনাভাইরাস নেগেটিভের ১৩টি ভুয়া সনদের ফটোকপি জব্দ করা হয় বলেও জানান ওসি।