তারা জানান, এ বছরও বেশি লাভের আশায় নিজে পুঁজি বিনিয়েগের পাশাপাশি ব্যাংক, এনজিও এবং মহাজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে মাছ চাষ করেছিলেন। পুকুর ও ঘেরে মাছও বেশ ভাল বেড়ে উঠেছিল। কিন্তু প্লাবন ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবাশীষ বাছাড় জানান, টুঙ্গিপাড়ায় ৩১৮.৮৪ হেক্টর পুকুর ও ঘেরে ৫২৪ মৎস্য চাষিরা মাছের চাষ করেন । এসব পুকুরে গ্রাসকার্প, রুই, কাতলা, মৃগেল, সরপুঁটি, সিলভার কার্প চিংড়ি ও বাটা মাছ চাষ করা হয়েছিল।
বন্যায় এসব পুকুর ও ঘের থেকে ৩৮৫ মেট্রিক টন মাছ ও সাড়ে ৪ লাখ মাছের পোনা ভেসে গেছে। এছাড়া পুকুর, ঘেরের পার ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়ার মৎস্যচাষী অমৃত মণ্ডল বলেন, “নিজেদের পুঁজি বিনিয়োগের পাশাপাশি মহাজনের কাছ থেকে দাদন, ব্যাংক ও এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে লাভজনক মাছ চাষ করেছিলাম। নদীর পানি বেড়ে আমাদের ঘরের সব মাছ ভেসে গেছে। এখন দেনা কিভাবে মেটাব সে চিন্তায় আমাদের মাথায় হাত পড়েছে।”
একই কথা জানালেন বিকাশ বাড়ইসহ একাধিক মৎস্য চাষি।
চাপরাইল গ্রামের মাছ চাষি সুব্রত বাইন বলেন, দুই একর ৪০ শতাংশের দুইটি ঘেরে সব পুঁজি খাটিয়ে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, পুটি ও বাটা মাছের চাষ করেছিলেন। প্লাবনে দুই ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এতে তার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুর গ্রামের সুমন্ত মণ্ডল বলেন, তিনি ৬৪ শতাংশের পুকুরে মাছের চাষ করেছিল। কিন্তু নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন সে চিন্তায় এখন দিশেহারা।
“ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বন্যা পরবর্তীতে করনীয় নিয়ে মৎস চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”