অনিয়ম: লক্ষ্মীপুরে ৮টি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা এবং লাইসেন্স নবায়ন না করার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2020, 04:54 PM
Updated : 25 August 2020, 04:54 PM

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে এ অভিযানে রায়পুর উপজেলার সাতটি হাসপাতাল এবং রামগঞ্জ উপজেলায় একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও চারটি ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা এবং লাইসেন্স নবায়ন না করার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়ে কর্তৃপক্ষ।

বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার গুলো হল, রায়পুরের মা ও শিশু হাসপাতাল, নিরাময় হাসপাতাল, জনসেবা হাসপাতাল, মেঘনা হাসপাতাল, মর্ডান হাসপাতাল, মেক্স কেয়ার হাসপাতাল, মেহেরুন নেসা হাসপাতাল এবং রামগঞ্জের রয়েল হাসপাতাল, মা মনি ডায়গনস্টিক সেন্টার, ইনসাফ ডায়গনস্টিক সেন্টার, গ্রিন লাইফ ডায়গনস্টিক সেন্টার ও লাইফ কেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টার।

গত সোমবার লক্ষ্মীপুরে লাইসেন্স না থাকায় আরও পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিভিল সার্জন।

সিভিল সার্জন ডাক্তার ডা. আবদুল গফফার বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা সিলগালা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাচ্ছি, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মের মধ্য দিয়ে চলুক। আইনের মধ্যে থেকে মানুষের সেবা নিশ্চিত করুক তারা।

গত ২৩ অগাস্ট হাসপাতালের ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন করার শেষ সময় পার হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন জানান, লাইসেন্স নবায়ন না করাসহ এসব প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে। সেজন্য হাসপাতাল ও  ডায়গনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষকে কাগজপত্রসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে বলে সেগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ওনার্স এসোসিয়েশন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান চৌধুরী তুহিন বলেন, সরকারের সব নিয়ম মেনে কাগজপত্র ও টাকা জমা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। কিন্তু কর্মকর্তাদের হয়রানির কারণে কাগজপত্র পেতে দেরি হচ্ছে।

“লাইসেন্স নবায়ন না করায় কয়েকটি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারকে সিভিল সার্জন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।”

অভিযানে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার, রায়পুর সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বাহারুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তারা হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোর অপারেশন থিয়েটার, ফার্মেসি, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব পরিদর্শন এবং কাগজপত্র যাচাই করেন।