সোমবার উপজেলার পাড়কোনা- পয়সারহাট খালের বুজর্গোকোনা নামক স্থানের ওই বাঁধ কাটার সময় বাঁধ ভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, এই বাঁধ এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
“প্রায় ১৭ বছর পরে এলাকার মানুষ দুর্ভোগমুক্ত হল।”
বাঁধটি কেটে দেওয়ায় এলাকার মানুষ ধান চাষ, মাছ উৎপাদন ও নৌপথে পরিবহন ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে উপকৃত হবেন বলে জানান তিনি।
কোটালীপাড়ার উত্তরপাড়া গ্রামের রহিম উদ্দিন জানান, ২০০৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পাড়কোনা-পয়সারহাট খালের বুজর্গোকোনায় বাঁধ দিয়ে একটি সেতু নির্মাণ করে। কাজ শেষে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাঁধটি না কেটেই চলে যায়।
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মধ্যে রশি টানাটানির কারণে প্রায় ১৭ বছর ধরে খালেরেএ বাঁধ কাটা হয়নি। অবশেষে এলাকাবাসীর দাবির মুখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বাঁধটি কেটে ফেলা হল।
উত্তরপাড়া গ্রামের বদিউজ্জামান বলেন, খালটিতে বাঁধ থাকার কারণে আমাদের এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার কৃষকের বোরো আবাদে সমস্যা হতো। আমরা জমিতে খালের পানি দিয়ে সেচ দিতে পারতাম না। উৎপাদিত পণ্য পরিবেহনে সমস্যা হতো। এখন আমাদের আর সমস্যা হবে না। বিল থেকে ধান কেটে সহজেই বাড়ি নিয়ে আসতে পারব।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, এ বাঁধ কেটে দেওয়ার ফলে উত্তরপাড়া, পূর্বপাড়া, বান্ধাবাড়ি, বটবাড়ি, খাকবাড়ি, আমবাড়ি, জটিয়ারবাড়িসহ প্রায় ২০টি গ্রামের জনগন জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।