সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে পটুয়াখালীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাউফল সার্কেল মো. ফারুক হোসেন জানান।
নিহত মো. শাওন খন্দকার (২৫) বিলবিলাস গ্রামের মো. জাকির হোসেন খন্দকারের ছেলে এবং টঙ্গি সরকারি কলেজের এমএস বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঘটনার পর থেকে শাওনের বন্ধু রাজিবকে (২৫) আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। রাজিব উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মদনপুরা গ্রামের ফয়েজ রাজার ছেলে।
শাওনের ফুফাতো ভাই সোহেল বলেন, শাওন ঈদুল আযহা উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে আসেন।রোববার সন্ধ্যায় বাজারে একটি দোকানে বসলে শাওনের চোখে টর্চ লাইটের আলো মারে রাজিব। এ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিক বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিলবিলাস বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে শাওন চা পান করছিলেন।এমন সময় রাজিব এসে শাওনের পাশে দাড়ালে শাওন তার চোখে টর্চের আলো মারার বিষয়টা জানতে চায। এ সময় রাজিব উত্তেজিত হয়ে ধারাল ছুরি দিয়ে শাওনের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
শাওনের ফুপু শিল্পী বেগম সাংবাদিকদের জানান, গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে শাওনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ধারাল অস্ত্রের আঘাতে কন্ঠনালী কেটে যাওয়ায় ও গলার আসপাশে একাধিক আঘাত থাকায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে শাওনের মৃত্যু হয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এএসপি।