কুড়িগ্রামে প্রেমের ফাঁদে কিশোরীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ২

কুড়িগ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2020, 04:51 PM
Updated : 23 August 2020, 04:51 PM

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার দুপুরে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার শামিম হোসেন সুজন (২৫) ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী ধর্মপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে এবং হুমায়ুন কবির (২৫) দক্ষিণ অনন্তপূর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

এ মামলার অপর দুই আসামি বড়ভিটা ইউনিয়নের মনছুর আলীর ছেলে ও হুমায়ুনের মামাত ভাই একরামুল হক (৩৮) এবং অপর আসামি আলআমিন (২৪) পলাতক রয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায় জানান, এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চার জনকে আসামি করে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ মামলার এজাহারভুক্ত শামিম হোসেন সুজন ও হুমায়ুন কবিরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কিশোরীর দরিদ্র ভ্যান চালক বাবা বলেন, “আমার মেয়ের জীবনটা ওরা তছনছ করে দিল। মেয়েটা কেবল নবম শ্রেণিতে পড়ে। যারা আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে, আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।”

ঘটনার বিবরণে ফুলবাড়ী থানার ওসি এবং মেয়েটির বাবা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শামিম হোসেন সুজন ও হুমায়ুন কবির মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিয়ে যায়। পর দিন শুক্রবার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

শনিবার মধ্যরাতে হুমায়ুন কবিরের মামাত ভাই একরামুল হকের বাড়ি থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা। রোববার সকালে মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মামলার জন্য ফুলবাড়ী থানায় আনা হয় বলে জানান ওসি ও মেয়েটির বাবা।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার বিবরণে ওই কিশোরী থানায় তাদের বলেছে, হুমায়ুন কবিরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন হুমায়ুন তার বন্ধু শামিম হোসেন সুজনকে দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বাইরে নিয়ে আসে। এরপর হুমায়ুনের মামাত ভাই একরামুল হকের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে দুই ভাই মিলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। শামিম হোসেন সুজন ও আল আমিন দুইজন মিলে এ অপকর্মে সহযোগিতা করে।