শনিবার থেকে এ কারখানা থেকে সার উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী।
বিসিআইসি’র তালিকাভুক্ত ডিলারদের প্রতিমাসে যমুনা সার কারখানায় উৎপাদিত ইউরিয়ার সাথে চায়না থেকে আমদানি করা ৩ মেট্রিক টন সার নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী বলেন, “এ তিন মেট্রিক টন আমদানি করা সারের বস্তা দীর্ঘদিনের পুরনো, ছেঁড়া-ফাটা, জমাট বাঁধা, গলিত ও পচা থাকে। যার গুণগত মান নাই বললেই চলে। এসব সার কৃষক না কেনায় লোকসান গুণতে হচ্ছে সার ডিলারদের।”
কর্তৃপক্ষ এটা সুরাহা না করায় শনিবার সকাল থেকে আমদানিকৃত পচা সার বরাদ্দ বন্ধের দাবিতে ডিলাররা সার উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ করে দেন জানিয়ে তিনি যোগ করেন, “শুধুমাত্র যমুনায় উৎপাদিত সার সরবরাহ করা হলে ডিলাররা সার উত্তোলন শুরু করবে।”
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, জামালপুরে ২১৮ জন, শেরপুরে ৯০ জন ও টাঙ্গাইল জেলার ২০০ জন সার ডিলার রয়েছেন।
তিনি জানান, এসব ডিলার যমুনা সার কারখানা থেকে সার উত্তোলন করে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেন। প্রতি ডিলারের মাঝে প্রতিমাসে ১২ টন করে সার বরাদ্দ দেয় যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রতি ডিলারকে চায়না থেকে আমদানি করা তিন টন করে ইউরিয়া দেওয়া হয়।
“কয়েক বছর আগে আমদানি করা এসব সার কারখানার খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়েছে। যেগুলো গলে পচে জমাট বেঁধে পাথরের মত হয়ে গেছে। এসব সার অবিক্রিত থাকছে এবং প্রতিটি ডিলারের গুদামে পড়ে রয়েছে।”
“রোববার জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।”
শনিবার দুপুর পর্যন্ত যমুনা সার কারখানায় বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ৪০ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন এবং যমুনায় উৎপাদিত ৮২ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন সার মজুদ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুজিদ মজুমদার জানান, আমদানিকৃত সারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডিলাররা শনিবার সার উত্তোলন বন্ধ করে।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন নেতা ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর সাথে কথা হওয়ার দাবি করে রোববার থেকে ডিলাররা সার উত্তোলন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।