পঞ্চগড়ে জঙ্গল কেটেও মিলল না বাঘ, অভিযানে ইতি

পঞ্চগড়ে সন্দেহজনক কিছু পায়ের চিহ্ন পেলেও বাঘের দেখা না পেয়ে অভিযানের সমাপ্তি টানা হয়েছে।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2020, 04:29 PM
Updated : 22 August 2020, 04:29 PM

জেলার সদর উপজেলার পুরাতন একটি চা বাগানের চা-গাছসহ আশপাশের জঙ্গল কেটেও বাঘের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বাঘ শিকারিরা।

গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ জহুর আমীন এবং ওয়্যারল্যাস স্কাউট আতিকুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার বাঘ ধরতে পঞ্চগড়ে আসেন।

ভেটেরিনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ জহুর আমীন বলেন, “আসলে যে পায়ের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল সেগুলো বাঘের নাও হতে পারে।

“আর উৎসুক জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে বাঘ তার স্থান পরিবর্তন করতে পারে। তবে আমরা  বাঘের কোনো সন্ধান পাইনি।”

এজন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে চলা বাঘ খোঁজার অভিযান শনিবার সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে সাতমেরা ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, স্থানীয়দের ধারণা মানুষের কোলাহলে বাঘগুলো হয়তো রাতের আঁধারে চাওয়াই নদী পেরিয়ে ভারতে ফিরে গেছে অথবা অন্য কোথাও সরে গেছে।

তাই বাঘ কোথায় পালাল অথবা আবার ফিরে আসবে কিনা তা নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।

আবুল কালাম নামে এক গ্রামবাসী তার একটি গরুকে বাঘ হত্যা করেছে এবং অনেকেই রাতের বেলা বাঘের আনাগোনাও দেখেছেন বলে দাবি করেন।  সাতমেরা ইউনিয়নের মুহুরিজোত, সাহেবীজোত, উষাপাড়া ও বাদিয়াগছ গ্রামের মানুষ বাঘ আতঙ্কে মাসখানেক ধরে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বলেও দাবি করেন। 

গত বুধবার নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সন্ধ্যার পর গ্রামবাসীকে ঘরে থাকার এবং চা বাগানটির আশেপাশে না যেতে মাইকিং করে প্রচারণা চালায়।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, “গ্রামবাসীর সন্দেহের পর আমরা শুক্রবার সকাল থেকেই পরিত্যক্ত চা বাগানের গাছ কাটাসহ আশপাশের জঙ্গল কাটার অনুমতি দেই। অভিজ্ঞ বনকর্মীদের উপস্থিতিতে শ্রমিকরা বিকালে চা বাগানের অপ্রয়োজনীয় গাছ কাটা ও জঙ্গল পরিষ্কারের কাজ শেষ করেন।

“কিন্তু সেখানে বাঘের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ কারণে বাঘ খোঁজার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।”

এ সময় বনবিভাগের কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।