বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন বলেন, শর্তসাপেক্ষে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার থেকে জেলার সকল পর্যটন কেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন।
“বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস মনিটরিং কমিটির এক জরুরি সভায় জেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
করোনভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে গত ২৫ মার্চ এই জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে শুক্রবার দেখা গেছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। শহরে দুটি পর্যটন কেন্দ্র্র নীলাচল ও মেঘলায়ে পর্যটকদের দেখা গেছে।
এ সময় কয়েকজন পর্যটকের সঙ্গে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কথা হয়েছে।
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে টিকেট কাউন্টারে সুদীপ বড়ুয়া বলেন, নীলাচল খুলে দেওয়ায় লোকজন ঘুরতে এসেছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ জেলার বাইরের পর্যটক; আর কিছু বান্দরবান জেলার পার্শ্ববর্তী লোকজন। প্রথম দিনেই ৫০০টির মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে।
মেঘলায় পর্যটন কেন্দ্রে টিকেট সরবরাহকারী সুকুমার তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ২০০টির মতো টিকেট বিক্রি হয়েছে।
এদিকে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার ঘোষণা পেয়ে অতিথি আসার অপেক্ষায় হোটেল-মোটেল ও রিজোর্টগুলোর কক্ষ গোছানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
শহরে আবাসিক হোটেল হিল ভিউর ম্যানেজার মনিরুজ্জামান বলেন, প্রথম দিনে ১৫টি কক্ষ বুকিং হয়েছে। কয়েকদিন পর হয়ত আরও বাড়বে। হোটেলে পর্যটকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হলিডে ইন রিজোর্টের পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, আপাতত বুকিং কম। কর্মচারীরা কাজে ফিরেছেন মাত্র। বন্ধ রিজোর্ট গোছাতে কয়েকদিন সময় লাগবে। এরপর হয়ত পর্যটকরা বেড়াতে আসতে শুরু করবে।
তবে করোনাভাইরাসের এই দীর্ঘ ছুটিতে তার আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অন্তত দুই বছর সময় লাগবে বলে তিনি মনে করেন।
করোনাভাইরাসের কারণে বান্দরবানে পর্যটন শিল্প ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে মন্তব্য করে জেলার আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসেনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্র এবং আবাসিক হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করবে।
এবার পর্যটন শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা করছেন এই ব্যবসায়ী।