গ্রেপ্তার রতন মোস্তাক গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের হাজীপাড়ায়।
গত ১ অগাস্ট রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের হাজীপাড়ার বাসিন্দা আক্কাস আলী হামলায় আহত হন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওইদিনই তিনি মারা যান।
ওই ঘটনার রাতেই ১৭ জনকে আসামি করে রাজারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই খোরশেদ আলম।
খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, গত রমজান মাসে তারাবি নামাজে ঈমামের বেতন ৫০ টাকা কম দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় গ্রামের কয়েকজনের মধ্যে।
“এর জেরে ঈদুল আজহার দিন ১ অগাস্ট সন্ধ্যায় এসআই রতন মোস্তাকসহ তার পরিবারের লোকজন আক্কাস আলী ও ভাগিনা সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন।”
পরে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসায় অবস্থায় আক্কাস আলী মারা যান।
খোরমেধ বলেন, এই ঘটনায় এলাকাবাসী তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও মূল আসামি এসআই রতন মোস্তাকসহ অন্যরা আত্মগোপন করেন।
এই ঘটনার বিচারের দাবিতে রাজারহাটসহ কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
খোরশেদ জানান, ঘটনার রাতেই ১৭ জনকে আসামি করে রাজারহাট থানায় তিনি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
রাজারহাট থানার ওসি রাজু সরকার বলেন, মূল আসামি রতন মোস্তাককে গাইবান্ধা থেকে আটকের পর তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার পর রতন মোস্তাককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে ওসি নিশ্চিত করেছেন।