গাংনীর মেয়রের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা ঘুস নেওয়ার অভিযোগ

কর বিভাগে চাকরি দেওয়ার জন্য ১৫ লাখ টাকা ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

মেহেরপুর প্রতিনিধিতুহিন আরন্য, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2020, 09:42 AM
Updated : 21 August 2020, 09:42 AM

মেয়র আশরাফুল উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। তার স্ত্রী সাহানা ইসলাম শান্তনা জেলা পরিষদ সদস্য। তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অভিযোগ তুলেছেন পৌরশহরের শিশিরপাড়ার বাহাদুর আলীর মেয়ে মৌমিতা খাতুন পলি।

টাকা ফেরত অথবা চাকরির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকালে গাংনী উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনারে বসে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন পলি ও তার মা হোসনে আরা খাতুন।

পলির অভিযোগ, “গাংনী পৌরসভায় সহকারী কর আদায়কারী পদে চাকরির জন্য পৌরমেয়র আশরাফুল ইসলাম ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। তখন জামিজমা বন্দক রেখে আমরা মেয়রের স্ত্রীর ইসলামী ব্যাংক মেহেরপুর শাখার হিসাবে টাকা জমা দিই।

“২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি ৫ লাখ ৭০ হাজার, ২৫ জানুয়ারি ৫০ হাজার, ৫ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ ৯০ হাজার—মোট আট লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। একই বছরের জুলাই ও মে মাসে বাকি ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা মেয়রের হাতে নগদ দিয়েছি।”

তবে মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, “পলির স্বামী জমি কেনার জন্য কিছু টাকা দিয়েছিলেন। সেই জমিতে তারা এখন চাষাবাদ করছেন। জমি ফেরত দিলে আমি টাকা ফেরত দেব।”

তবে কত টাকা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

মেয়র বলেন, “ওদের জমিজমা সব শেষ। আমাকে ১৫ লাখ টাকা ঘুস ওরা দেবে কোত্থেকে?”

এ বিষয়ে মেয়রের স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য সাহানা ইসলাম শান্তনা বলেন, “এটা চাকরি দেওয়ার নামে কোনো টাকা না। এটা জমিজমা সংক্রান্ত টাকা।”

তবে কত টাকা বা কী পরিমাণ জমি সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

তবে পলি এখনও কোনো আইনি সহায়তা চাননি।

গাংনী থানার ওসি মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ দিয়ে আইনি সহায়তা চাইলে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তার পরও দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে অনশন ভঙ্গ করানো হবে।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনসুর আলম খান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানানোর পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে পলি বলেন, অভিযোগ না দিয়েই তিনি সমস্যাটার সমাধান চেয়েছিলেন। এখন অভিযোগ দেবেন।