বুধবার বিকালে যশোর বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি আরও সাতদিন সময় চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর চাঁচড়া ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রোকিবুজ্জামান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে বন্দি নির্যাতন ও খুনের ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। এ ব্যাপারে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তাদের রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।
রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো তিন কর্মকর্তা হলেন যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সাময়িক বরখাস্ত সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্ববধায়ক মাসুম বিল্লাহ ও ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর এ কে এম শাহানুর আলম।
এর আগে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া কেন্দ্রের অপর দুই কর্মকর্তা সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুককে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয় সোমবার।
গত ১৩ অগাস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন বন্দি কিশোর নিহত ও ১৫ কিশোর আহত হয়। এই ঘটনায় ওই কেন্দ্রের আটক পাঁচ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মুহাম্মদ আবুল লাইছ বলেন, তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তা বর্তমানে গ্রেপ্তার আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
“এজন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে; কিন্তু এখনও এ ব্যাপারে আদালতের আদেশ পাওয়া যায়নি। সে কারণেই মন্ত্রণালয়ের কাছে আজ [বুধবার] আরও সাত দিন সময় চাওয়া হয়েছে।”
এই ঘটনায় সমাজসেবা অধিদপ্তরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটিও এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
আরও পড়ুন