সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় মাঠে বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা। বাংলাদেশ কিভাবে টিকা পেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশে এসেছেন।”
ভারত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ঢাকা সফররত শ্রিংলার সঙ্গে বুধবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ওই টিকার পরীক্ষার বিষয় থাকছে।
যুক্তরাজ্যের ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনকার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অক্সফোর্ডের টিকাটি উৎপাদন করবে ভারতের পুনেভত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। এই টিকাটি পেতে বাংলাদেশও আগ্রহী। এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অংশীদার হতে চাওয়ার কথা ইতোমধ্যে ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক পরীক্ষাগুলোয় সাফল্যের মুখ দেখার পর মানবদেহে প্রয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় পর্যায়ে রয়েছে ‘কোভিশিল্ড’ নামের টিকাটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ও আলোচনায় স্থান পাবে।”
সমস্যার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়মের কারণে ট্রাকে করে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে সমস্যা তৈরি হয়। পরে রেলপথ ব্যবহার করে পণ্য আমদানি হয়েছে। জাহাজেও পণ্য আসছে।
“ভারত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র এবং তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় যেকোনো সমস্যাই দ্রুত সমাধান হবে।”
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানে করে আকস্মিভাবে বাংলাদেশ সফরে আসেন শ্রিংলা।