মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের তেলীবাড়ী ঘাট নামক স্থানে এ হামলায় আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গাজীরটেক ইউনিয়নের ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের শামসুদ্দীন ব্যাপারীর ছেলে মো. কাউসার হোসেন (৪৯), চর হাজিগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি একই গ্রামের নূরুদ্দীন ব্যাপারীর ছেলে কবিরুল আলম বেপারী (৫৮), আব্দুল হাকিম ব্যাপারির ছেলে সাখাওয়াৎ বেপারী (৪৫) এবং মধু ফরিরের ডাঙ্গী গ্রামের নূরুদ্দীর মোল্লা ছেলে মোহাম্মদ মোল্লা (৬৪)।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক স্বপন মন্ডল জানান, ওই চারজন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ধারালো অস্ত্রে কোপে ও লাঠি পেটায় তারা আহত জানিয়ে ড. স্বপন বলেন, আহতদের মধ্যে কবিরুল আলম বেপারীর আঘাত অন্যদের চেয়ে বেশি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন থানার ওসি নাজনীন খানম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেননি।
“অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।”
হামলার বিবরণ দিয়ে আহত মো. কাউসার হোসেন জানান, তারা চারজন ফরিদপুর থেকে দুইটি মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তেলীবাড়ীঘাট মোড় এলাকায় আসার পর চর সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বেগের ছেলে সোহেল বেগ (২৭) ১০/১২ জন সহযোগী নিয়ে ৬/৭টি মোটরসাইকেল দিয়ে তাদের গতিরোধ করেন।
সোহেল বেগের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বেগের সাথে কথা হয়েছে।
আব্দুস সালাম বেগ বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি চরসুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা এবং এক শিক্ষককে মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
তিনি জানান, গত রোববার তিনি চর হাজিগঞ্জ বাজারে গেলে তাকে তিনজন তরুণ আক্রমণ করে কিলি ঘুষি মারে। পরে উপস্থিত লোকজন তাকে রক্ষা করে। এ বিষয়ে তিনি গতকাল থানায় অভিযোগও করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তিনি থানায় বসে এ হামলার ঘটনা জানতে পারেন।