বৃহস্পতিবার রাজশাহীর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন শিশুটির চাচি পারভীন বেগম (৩৫)।
গত শনিবার [৮ অগাস্ট] চারঘাট উপজেলার চকশিমুলিয়া গ্রামের মো. তারেকের ছেলে আজমাইন সারোয়ার আলিফ নিখোঁজ হয়। পরদিন রোববার বড়াল নদীতে তার ভাসমান লাশ পাওয়া যায়।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বৃহস্পতিবার রাতে এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ৮ অগাস্ট দুপুরে তারেকের বাড়িতে গিয়ে আফিলকে কোলে নিয়ে পারভীন বেগম নিজ বাড়িতে যান। এরপর থেকে শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন জানতে চাইলে পারভীন শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
“পরদিন শিশুটির মা চাম্পা বেগম বাদী হয়ে চারঘাট থানায় পারভীনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পূর্বশত্রুতার জেরে পারভীন তার ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।”
ইফতে খায়ের আলম বলেন, থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ পারভীনকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চারঘাট থানার কালুহাটি পূর্বপাড়া গ্রামসংলগ্ন বড়াল নদীতে ভাসমান অবস্থায় শিশু আলিফের লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে তার গলায় থাকা রুপার চেইন ও কোমরে বিছা পাওয়া যায়নি।
“১০ অগাস্ট পুলিশ পারভীন বেগমকে আদালতের নির্দেশে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে পারভীন হত্যার করা স্বীকার করেন।”
পুলিশকে দেওয়া পারভীনের স্বীকারোক্তির বরাতে ইফতেখায়ের আলম বলেন, ঘটনার আগের দিন ৭ অগাস্ট একই গ্রামের আজাদ হোসেন (৩৭) নামের একজনের সঙ্গে শিশুটিকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেন পারভীন।
“পরিকল্পনা অনুযায়ী পারভীন ৮ অগাস্ট দুপুরে আলিফকে নিয়ে আজাদের কাছে দেন। আজাদ শিশুটিকে বড়াল নদীতে ফেলে দিয়ে আসেন এবং কোমরের বিছা ও গলার চেইন এনে পারভীনকে দেন। এর বিনিময়ে আজাদ ৩০০ টাকা নিয়ে চলে যান।”
ইফতে খায়ের বলেন, স্বীকারোক্তির পরে পারভীন নিজ হাতে তার বাড়ির আঙিনার লিচুগাছের নিচে আবর্জনার স্তূপের ভেতর থেকে বিছা ও চেইন বের করে দেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।