শুক্রবার এ সংক্রান্ত পত্রের অনুলিপি পেয়েছেন বলে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান।
বরখাস্ত তিন ইউপি সদস্য হলেন খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুলাল হোসেন এবং গান্ধাইল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলাউদ্দিন জোয়াদ্দার।
কাজিপুরের ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত পত্র ওই তিন ইউপি সদস্যের নামে পাঠানো হয়েছে।
“চিঠিতে সাময়িক বরখাস্ত তিনজন ইউপি সদস্যকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ জুন খাসরাজবাড়ী ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার টাকা অবৈধভাবে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দা হযরত আলী। এর আগে ২৮ মে একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দুলাল হোসেনের বিরুদ্ধে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও গান্ধাইল ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন জোয়াদ্দারের বিরুদ্ধে ভিজিডির তালিকাভুক্তদের চাল না দিয়ে সহযোগীদের সহায়তায় উত্তোলন করে আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেন গান্ধাইল গ্রামের একাধিক ব্যক্তি।
ইউএনও জানান, স্থানীয়ভাবে তদন্তে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর তিন ইউপি সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।