মঙ্গলবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে মিজানুর রহমানকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে। বুধবার মিজানুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘা উপজেলার রস্তমপুর ভারতিপাড়া গ্রামের মহির উদ্দীনের ছেলে আরিফ হোসেনের (১৯) আগুনে পোড়া লাশ পাওয়া গিয়েছিল। আরিফ রাজশাহীর চারঘাটের পান্নাপাড়া ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
আরিফ নিহত হওয়ার পর তার মা আছিয়া বেগম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আব্দুল মান্নান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বিচারিক হাকিম উজ্জ্বল মাহমুদ গ্রেপ্তার মিজানুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান বাঘার রুস্তমপুর ভারতীপাড়ার ইব্রাহিম আলীর ছেলে এবং পেশায় ভ্যান চালক। পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মিজানুর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আব্দুল মান্নান জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে বলেন, মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর সে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
“নিহত আরিফের চাচা কুদ্দুসের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয় বলে মিজানুর জানিয়েছেন।”
পরিদর্শক মান্নান বলেন, মিজানুর বলেছেন-হত্যাকান্ডের সময় তার সঙ্গে কুদ্দুস, মিলন ও মজনু নামের আরও তিনজন সেখানে উপস্থিত ছিল। প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা মান্নান আরও বলেন, স্কুলছাত্র আরিফ হত্যাকাণ্ড ক্লু- বিহীন ঘটনা ছিল। দীর্ঘ তদন্তে এ হত্যা মামলার কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি মামলাটি পিবিআইয়ে আসে। এরপর তদন্ত শুরুর হলে সন্দেহভাজন হিসেবে ভ্যান চালক মিজানুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কাছ থেকেই এ হত্যার ক্লু পাওয়া যায়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রুস্তমপুর বাজারে যান আরিফ। কিন্তু রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছিলেন নানি অথবা বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছেন। পরদিন [১৩ ডিসেম্বর] দুপুরে রাজশাহীর বাঘায় একটি আম বাগানের মাঝখানে খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ছিল আগুনে পোড়া।