আগামী ১৬ অগাস্ট টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) কার্যালয়ে এই শুনানি হবে বলে তদন্ত কমিটির সদস্য কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হন।
এই ঘটনা তদন্তে গত ২ অগাস্ট কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলিকে প্রধান এবং পুলিশ সুপারের একজন প্রতিনিধি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) ও সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পরদিন কমিটি পুনর্গঠন করে চার সদস্যবিশিষ্ট করা হয়, যেখানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করা হয়। আর কমিটির সদস্যরা হলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) একজন প্রতিনিধি এবং সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির একজন প্রতিনিধি।
তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাজাহান আলি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে গণশুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
“সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিবর্গকে নির্ধারিত সময় ও তারিখে উপস্থিত হয়ে গণশুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে অবহিত করা হয়েছে।”
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ।
গত ৫ অগাস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকতসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য ৬ অগাস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আদালতের নির্দেশে এই মামলা তদন্ত করছে র্যাব।