কিশোরগঞ্জে পানিতে ডুবে মৃত্যু: চার শিশুর লাশ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে একদিনে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2020, 03:44 PM
Updated : 11 August 2020, 03:59 PM

মঙ্গলবার জেলার ভৈরব, নিকলী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার পৃথক পৃথক স্থান থেকে এ চার মরদেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হচ্ছে ভৈরব পৌর শহরের কালিপুর গ্রামের খোকন মিয়ার মেয়ে পাপিয়া (৭)। অপর জন ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের বধুনগর গ্রামের আরিজ মিয়ার দেড় বছর বয়সী ছেলে আলভীন।

এছাড়া চর শোলাকিয়ার বাসিন্দা মতিউর রহমানের ছেলে আলীমুল ইসলাম ওরফে তাসনিম। সে কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপরজন পাকুন্দিয়া উপজেলার বাহাদিয়া মুন্সিবাড়ি গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আল ফাহাদ (১১)। সে স্থানীয় এক কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কেজি-৪ এ ছাত্র ছিল।

ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীন জানান, মঙ্গলবার বিকালে পৌর শহরের কালিপুর এলাকায় বাড়ির পাশে ডোবায় গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যায় নার্সারি ক্লাসের ছাত্রী সাত বছর বয়সী পাপিয়া । পরে সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি বলেন, এর আগে অন্য ঘটনায় সকালে আলভীন খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশে বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিকলী থানার ওসি শামসুল আলম সিদ্দিকী জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নানা বাড়ি নিকলী উপজেলার কারপাশা হাওরে ভ্রমণের সময় গোছল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় তাসনিম। ঘণ্টাখানেক পর তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার বাবা মতিউর রহমান জেলা সদরের ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের প্রদর্শক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

পাকুন্দিয়া থানার ওসি মফিজুর রহমান জানান, গত রোববার বিকালে ফাহাদসহ আরো পাঁচজন বাড়ির পাশে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকায় করে ঘুরতে গিয়েছিল। নৌকাটি ডুবে গেলে অন্য পাঁচজন সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হয় ফাহাদ।

মঙ্গলবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পাঠানবাড়ি ঘাট থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

তাদের মৃত্যুর ঘটনায় এ তিন থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

পানি ডুবে মৃত্যু বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বন্যার মধ্যে এবং ঈদের সময় সব চেয়ে বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।