‘অদম্য পাঠশালা’ নামে এই সংগঠনটি জেলা শহরের দোয়ারপাড় সরদারপাড়া ও নিজনান্দুয়ালী চরপাড়া এলাকায় এই শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক সম্পা বসু বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীরর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু বাড়িতে টেলিভিশন বা আধুনিক মোবাইল ফোন না থাকায় হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা পাঠ নিতে পারছে না। এসব শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
স্থানীয় এবং মহামারীর কারণে যারা বর্তমানে মাগুরায় রয়েছে তাদের সবাইকে এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সম্পা বলেন, তারা শুক্রবার বাদে সপ্তাহে ছয় দিন প্রায় শতাধিক হতদরিদ্র পবিারের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া শিখিয়ে যাচ্ছেন। প্রথম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ বিনা খরচে এখানে লেখোপড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
খুদে শিক্ষার্থী ঐশী বিশ্বাস, কেয়া বিশ্বাস, ইমরান কবীর, রোকসানা আক্তারসহ অনেক শিক্ষার্থী বলেছে, তাদের লেখাপড়া একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত আড়াই মাস ধরে অদম্য পাঠশালায় তারা নিয়মিত পাঠ নিচ্ছে।
বাসন্তী বিশ্বাস, উমা রানী, বিপুল বিশ্বাসসহ অভিভাবকরা জানিয়েছেন, মহামারীতে কাজ না থাকায় তাদের সংসার অচল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় প্রাইভেট পড়ানোর সার্মথ্য তাদের নেই। স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছিল। এখন তাদের সেই দুশ্চিন্তা কেটেছে। বিনা খরচে লেখাপড়া করতে পারছে তাদের শিশুরা।
স্থানীয় সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোল্লা সাইদুর রহমান বলেন, সংগঠনটি সামাজিক দূরত্ব মেনে হতদরিদ্র পবিরারের সন্তানদের লেখাপড়া শেখাচ্ছে। এটা একটা মহৎ উদ্যোগ।
“এই দুর্যোগময় সময়ে এটি সারা দেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য একটি মডেল হতে পারে।”