সোমবার দুপুরে বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম।
আহতরা হলেন বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিংসহ (৫৫), গ্রাম পুলিশ আতাউর রহমান (৫৫), কুলসুম আক্তার (২৭), ফিরোজ (২৫)।
বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পরেশ চন্দ্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১০ বছর আগে সদরের বড়গাঁও ইউনিয়নের আরাজি সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে সোহেল রানা সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেবীপুর ইউনিয়নের পয়সাফেলা গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে কুলসুম আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি মেয়েও হয়। দেড় মাস আগে বজ্রপাতে সোহেল রানার মৃত্যু হয়।
পরেশ চন্দ্র জানান, সর্বশেষ প্রয়াত সোহেলের বাবা আব্দুল হামিদ বিষয়টি সমাধানের জন্য বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিং বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে উভয় পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন চেয়ারম্যান।
পরেশ চন্দ্র বলেন, শালিশ বৈঠক চলাকালে কুলসুমের পরিবার ও প্রয়াত সোহেলের পরিবারের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিং এগিয়ে গেলে তিনিসহ আরও তিনজন আহত হন।
সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল ফোনে কুলসুম আক্তার ও সোহেল রানার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।