সোমবার দুপুরে নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গুচ্ছগ্রামের পাশে ইটের ভাটা সংলগ্ন নদীতে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।
নিহত মেহেদী হাসান (১০) লক্ষীপুর গুচ্ছগ্রামের আজহার মাদবরের ছেলে এবং স্থানীয় মুশুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শেণির ছাত্র ছিল।
নড়িয়া থানা পুলিশ বলে নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, গত রোববার দুপুরের খাবার শেষে খেলতে বের হয় মেহেদী। এরপর তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি।
বিষয়টি তার পরিবার নড়িয়া থানায় মৌখিকভাবে জানানোর পর স্থানীয় শিশু-কিশোররা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মেহেদীর লাশ দেখতে পায়। সেই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
“শিশুটির পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং মুখে কিল ঘুসির আঘাত রয়েছে।আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি শিশুটিকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।”
তদন্ত চলছে এবং ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে বলেন তিনি।