গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়নবোর্ড নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈদ্য জানান, জেলার মধুমতি নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং মধুমতি বিলরুট চ্যানেলের পানি বিপদসীমা থেকে নেমে ১০ সিন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। তবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদহ, উরফি, ইছাখালি ও ধলইতলায় নদীভাঙ্ন আব্যাহত রয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রেফা রানী হালদার বলেন, গোপালগঞ্জ সদর, মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় অনেক বাড়িঘর, পুকুর, ক্ষেত ও রাস্তাঘাট এখনও তলিয়ে আছে। এক হাজার পরিবার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও উঁচু কোথাও জায়গা করে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পরিাবার-পরিজন ও গবাদিপশু অনেক মানুষ চরম দুর্ভোগে জীবন যাপন করছে।
বন্যায় ভোগান্তির কথা জানিয়ে কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া গ্রামের লিংকন সরদার বলেন, “আমাদের বাড়ির সর্বত্রই পানি থৈই থৈই করছে। গত দুদিন ধরে পানি না বাড়লেও চলাচলের রাস্তা এখনও ডুবে আছে। গৃহপালিত পশু-পাখি আমাদের সঙ্গেই আশ্রয় নিয়েছে।
কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, “আমার ইউনিয়নের ২৯টি গ্রামের কমবেশি সব গ্রামই প্লাবিত হয়েছে। এখানে অন্তত দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি। ১ হাজার পুকুরের মাছ ভেসে অন্তত ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন কাঁচা সড়ক ডুবে গেছে। এছাড়া পুকুরপাড়ের সবজি, ধানের বীজতলা ও আউশ ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।”
এদিকে বন্যাদুর্গতদের প্রতিদিনই শুকনা খাবার, চালডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য এবং স্যালইন ও পানি বিশিদ্ধ করার ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে বলে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান।