রোববার কুড়িগ্রাম মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে তাদের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
শনিবার এই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৭ জুলাই গভীর রাতে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর খন্ডক্ষেত্র গ্রামের এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে একদল যুবক। এ সময় তারা মেয়েটির মা-বাবাকে আহত করে বাড়িতে লুটপাটও করে।
রোববার কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
গত ২৭ জুলাই গভীর রাতে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর খন্ডক্ষেত্র গ্রামে নবম শ্রেণিরিএক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত করে এবং বাড়ির পাশে একদল যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ স্বজনদের। তারা মেয়েটির বাবা ও মাকেও আহত করে এবং বাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকার ও এক লাখ ৬০ হাজার টাকা লুট করে বলেও অভিযোগ।
মেয়েটি ও তার বাবা-মা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ২৮ জুলাই অজ্ঞাত পরিচয় তিন জনকে আসামি করে রাজারহাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকায় দুদফা মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।