রোববার সকালে পাবনা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ওসি মাইনুদ্দিনকে প্রত্যাহার করে পাবনা পুলিশ লাইনসে সংযুক্তির আদেশ দেন বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীমা আখতার নিশ্চিত করেন।
শামীমা আখতার বলেন, সকালে ওসি মাইনুদ্দিনকে অব্যহতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মাইনুদ্দিনকে পাবনা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্তির কথা জানালেও এ অব্যহতির সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে রাজি হননি তিনি।
এর আগে, পাবনার বেড়া উপজেলার জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু, মাসুমদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন,নতুন ভারেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ রফিকুল্লাহ এবং রূপপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জ্বল এই চার ইউপি চেয়ারম্যান ওসি এসএম মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে সাত লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের তিন মাসের ফোনালাপের কললিস্ট ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। গত ২ জুন তারা স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ও পাবনার জেলা প্রশাসকের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে লিখিত আবেদন জানান তারা।
অভিযোগ তদন্তে সেই সময়ের জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও করা হয়। তবে সে তদন্ত প্রতিবেদন বিস্তারিত প্রকাশ করেনি জেলা পুলিশ।
এছাড়া, গত ১৩ এপ্রিল পাবনার ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান কোরবান আলী ২২৯ বস্তা ভিজিডি চাল চুরির অভিযোগে আটক হন। এ নিয়ে র্যাব-১২ ডিএডি মো. সোহরাব আলী বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় মামলা করেন। তবে, গত ১৯ মে ‘তথ্যগত’ ভুল দাবি করে র্যাবের অভিযোগকে অসত্য বলে কোরবান আলী সরদারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। ওসি মাইনুদ্দিন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কোরবান খালাস দেওয়ার জন্য তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশও করেন। অন্যদিকে, পুলিশের এমন তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপনের কথা জানান র্যাব ১২ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম।
রূপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জ্বল জানান, কাজীরহাট ঘাটে চাঁদার টাকা না পেয়ে নৌ পরিবহন ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।
তবে ওসির বিষয়টি স্পর্শকাতর ও পুলিশের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।