পিরোজপুরে স্বামী-স্ত্রী-সন্তান হত্যা: গ্রেপ্তার ২

পিরোজপুরে আটদিন আগে এক পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজনকে মূল হত্যাকারী বলছে পুলিশ।

পিরোজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2020, 07:20 PM
Updated : 8 August 2020, 07:20 PM

শনিবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন মঠবাড়িয়ার ধানীসাফা গ্রামের মৃত তোজাদ্দর আলী বিশ্বাসের ছেলে অলী বিশ্বাস (৩৮) এবং একই এলাকার কাওসার বেপারীর ছেলে রাকিব বেপারী (২০)।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাকিব বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অলী বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে

গত ৩০ জুলাই সকালে মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের ধানীসাফা গ্রামের অটোচালক আয়নাল হক হাওলাদার (৩৫), তার স্ত্রী খুকুমনি বেগম (২৫) ও তাদের মেয়ে আসফিয়া ইসলামের (৩) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ উদ্ধারের পরই পুলিশ এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছিল। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া  জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান লিখিত বক্তব্য দেন সাংবাদিকদের সামনে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ধানীসাফা গ্রামের অটোরিকশা চালক আয়নাল হক হাওলাদারের বাড়িতে ডাকাতি ও দস্যুতার জন্য অলী বিশ্বাস ও রাকি বেপারীসহ চারজন প্রবেশ করেন। ওই সময় আয়নাল ও তার স্ত্রী অলী বিশ্বাসসহ অন্যদের চিনে ফেলায় তাদের হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে।

মঠবাড়িয়ার ধানীসাফা গ্রামে নিহত আয়নাল হক হাওলাদার, তার স্ত্রী খুকুমনি বেগম ও তাদের মেয়ে আসফিয়া ইসলাম

এসপি রহায়াতুল ইসলাম জানান, মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে কাজ করে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে। শুক্রবার রাত ১টার দিকে মঠবাড়িয়ার সাফা গ্রাম থেকে প্রথমে অলী বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে এবং পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাকিব বেপারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

“পরে শনিবার সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দস্যুতাসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ইস্পাতের পাইপ, একটি রাম দা, একটি দা এবং লুন্ঠিত কিছু নগদ অর্থ ও মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।”

পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে এবং গ্রেপ্তারকৃদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।