দুই দুর্ঘটনায় সড়কে ঝরল ১৩ প্রাণ

ময়মনসিংহ ও চুয়াডাঙ্গায় সড়কে দুটি দুর্ঘটনায় ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2020, 05:19 PM
Updated : 8 August 2020, 05:22 PM

শনিবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বাসের ধাক্কায় এক পরিবারের তিনজনসহ সাত অটোরিকশা আরোহী এবং চুয়াডাঙ্গা সদরে বাসের ধাক্কায় ভ্যানগাড়ির আরোহী ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী একটি বাস বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মুক্তাগাছার মানকোন এলাকায় অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশাটি জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে যাচ্ছিল।

নিহতরা হলেন নিহতরা হলেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কাটাজানিনয়াপাড়ার নুরুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৩২), তাদের মেয়ে লিজা আক্তার (১২), মুক্তাগাছার মলাজানি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫), ভদ্রেরবাইদ গ্রামের সাইদুল ইসলাম (৫৫), মধুপুরের শোলাকুড়ি গ্রামের নজল মিয়া (৬০) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শ্রীরামপুর গ্রামের আলাদুল (৩৫)।

এরা সবাই অটোরিকশার আরোহী।

ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন জানিয়েছেন,বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে অটোরিকশার চার আরোহী নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত তিনজনের মৃত্যু হয়।

সাতজনের লাশ উদ্ধার করে মুক্তাগাছা থানায় থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ীবাসটিকে আটক করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ এলাকায় বাসের ধাক্কায় ভ্যানগাড়ির আরোহী ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন।

নিহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা গ্রামের মাহতাব আলীর ছেলে মিলন হোসেন (৪০), তিতুদহ গ্রামের নোতা আলীর ছেলে মোহাম্মদ সোহাগ (২০), আব্দুর রহিমের ছেলে শরীফ হোসেন (৩০), আলী হোসেনের ছেলে রাজু হোসেন (৩০), হায়দার আলীর ছেলে কালু হোসেন (৪০)ও বসুভাণ্ডারদহ গ্রামের শ্রী হাওলাদারের ছেলে ষষ্টি কুমার হাওলাদার (৩৫)।

চুয়াডাঙ্গা সদরে বাসের ধাক্কায় ভ্যানগাড়ির আরোহী ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন

আহতরা হলেন তিতুদহ গ্রামের বাবলু হোসেন (৪৫), আলমগীর হোসেন (২৮) ও মোহাম্মদজুমা গ্রামের আকাশ আলী (১৮)। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুল সালাম বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রয়েল পরিবহনের একটি বাস ইঞ্জিনচালিত দুইটি ভ্যানগাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় একটি ভ্যানগাড়ির দুজন শ্রমিক ঘটনাস্থলে মারা যান। হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বেলা ১০টার দিকে মারা যান আরও একজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতরা সকলেই কৃষি শ্রমিক। তারা একটি ভ্যানে করে মাঠে কাজ করার জন্য যাচ্ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খান বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে রয়েল পরিবহনের চালক আসাদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন।