কাশিমপুর কারাগারের কয়েদি নিখোঁজ: ঘটনাস্থলে তদন্ত কমিটি

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন দণ্ডিত কয়েদি নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2020, 04:23 PM
Updated : 8 August 2020, 04:23 PM

শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কমিটির সদস্যরা কাশিমপুর কারাগার-২ পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় থেকে কয়েদি আবু বকর সিদ্দিককে কারাগারের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রথম দিনের তদন্ত ও পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স কর্নেল আবরার হোসেন কারা ফটকের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, “তদন্ত কার্যক্রম চলছে। এ মুহূর্তে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা তদন্তের প্রাথমিক কার্যক্রমটুকু শেষ করেছি। তদন্তের বাকি কার্যক্রম খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ করব। তখন এর রেজাল্ট আপনারা জানতে পারবেন।”

তদন্তের স্বার্থে এ সম্পর্কে এখনই কিছুই বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

“আমরা ওই ঘটনায় কয়জন বরখাস্ত হয়েছে তা নিয়ে এখন মাথা ঘামাচ্ছি না। কয়েদি কীভাবে গেল এবং এ ঘটনায় কারা দায়ী আমরা তা বের করার চেষ্টা করছি।”

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর এক কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) কর্নেল আবরার হোসেন এবং সদস্য ডিআইজি তৌহিদুল ইসলাম ও মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান শনিবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ আসেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারে আসামি গণনাকালে কয়েদি আবু বকরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে কারা কর্তপক্ষ সাত জনকে বরখাস্ত এবং ১২ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে। এছাড়া জেলার বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে কোনাবাড়ি থানায়ও একটি মামলা করেছেন।

কারা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় শুক্রবার অতিরিক্ত কারা মহাকারাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) কর্নেল আবরার হোসেনকে প্রধান করে এবং ডিআইজি তৌহিদুল ইসলাম ও মানিকেগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হানকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনাবাড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, নিখোঁজ কয়েদির সন্ধানে অভিযান চলছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশ ছাড়াও পিবিআই, সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থাও তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।