‘৬ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছিলাম, বন্যায় সব শেষ’

দ্বিতীয় দফা বন্যায় ফরিদপুরে ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে ৬৩ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2020, 10:00 AM
Updated : 8 August 2020, 10:00 AM

ফসল নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষিজীবীরা যাদের অন্য কোনো আয়ের পথ নেই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হযরত আলী জানান, জেলায় আউশ, আমন, বীজতলা ও সবজিক্ষেত মিলে ১৪ হাজার ৬৫৮ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৪২৫ জন কৃষক। এর বাইরে চরাঞ্চলের কলাবাগানসহ বিভিন্ন বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

সরকারি হিসেবে পাটের ক্ষতির তথ্য না থাকলেও কৃষকরা জানিয়েছেন, পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারা পাট কাটতে পারেনি। অনেক দিন ধরে পানিতে ডুবে থাকায় ওই পাট কাজে আসবে না বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক।

সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গী এলাকার হাফিজুর বলেন, “সংসার চালানোর চালের চাহিদা মেটানোর জন্য ছয় বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছিলাম। সব শেষ।

“একদিকে করোনাভাইরাসের কারণে আয়রোজগারের পথ বন্ধ, আরেক দিকে বন্যায় ক্ষতি হল। কিভাবে চলবে বুঝতে পারছি না।”

একইভাবে বন্যায় ক্ষতির কথা জানান অম্বিকাপুর এলাকার কৃষক বক্কার খান।

তিনি বলেন, প্রতিবছর বর্ষায় ক্ষতি হয়, কিন্তু এবারের ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।

“আমার ২০ বিঘা আমন, দুই একর পাট গত ২০ দিন হল পানির নিচে। এই ক্ষেত থেকে ফসল পাওয়ার কোনো আশা নেই।”

নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের ‘৯০ শতাংশ প্লাবিত হয়ে ক্ষেত-খামার যা ছিল সব নষ্ট হয়ে গেছে’ বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুস্তাকুজ্জামান।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার বলেন, নর্থচ্যানেল, ডিক্রির চর, অম্বিকাপুর, চরমাধবদিয়া ও আলীয়াবাদ ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায় এখনও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এসব এলাকায় ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।