উপজেলার সরোজগঞ্জ এলাকার চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুল সালাম জানান।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা গ্রামের মাহতাব আলীর ছেলে মিলন হোসেন (৪০), তিতুদহ গ্রামের নোতা আলীর ছেলে মোহাম্মদ সোহাগ (২০), একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে শরীফ হোসেন (৩০), তিতুদহ গ্রামে আলী হোসেনের ছেলে রাজু হোসেন (৩০), বসুভাণ্ডারদহ গ্রামের শ্রী হাওলাদারের ছেলে ষস্টি কুমার (৩৫) ও তিতুদহ গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে কালু হোসেন (৪০) ।
আহতরা হলেন,- তিতুদহ গ্রামের বাবলু হোসেন (৪৫), মোহাম্মদজুমা গ্রামের আকাশ আলী (১৮) ও তিতুদহ গ্রামের আলমগীর হোসেন (২৮)।
আব্দুল সালাম বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রয়েল পরিবহণের একটি বাস ইঞ্জিনচালিত দুইটি ভ্যানগাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় একটি ভ্যানগাড়ির দুজন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান।পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনজনকে এবং বেলা ১০টার দিকে আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আহতরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতরা সকলেই কৃষি শ্রমিক। তারা একটি ভ্যানে করে মাঠে কাজ করার জন্য যাচ্ছিল। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খান বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে রয়েল পরিবহনের চালক আসাদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান,